যখন ম্যানেজমেন্ট মনে করে যে কাউকে দিয়ে যেকোনো কাজ সম্ভব!
জীবনে সফল হবার ১০১ টি ঊপায় জানেন তো? না জানলেও আপত্তি নেই যদি আপনি আপনার কাজটা ধরে ফেলতে পারেন।
ইদানীং প্রফেশনাল ফিল্ডে এমপ্লোয়াররা মাল্টিটাস্কার খুজে বেড়ায়। কিন্তু এই জগতে আসলেই কি কেউ মাল্টিটাস্কিং এবিলিটিতে নিজেকে সেরা দাবি করতে পারে? হয়ত হ্যা,হয়তবা না। তবে এই দুনিয়ার কেউই মাল্টিটাস্কার না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এক্সপার্টরা এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মত দিয়েছেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, দীর্ঘ দিন ধরে মাল্টিটাস্কিং করে গেলে ব্রেনের কার্যকারিতা কমতে শুরু করে। কমে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি, দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা, আই কিউ! এবং কেউই এটা দীর্ঘসময় ধরে কন্টিনিউ করতে পারেনা। কি ভয়ংকর না ব্যাপারটা?
কিন্তু এই ব্যাপারটাই অনেক ম্যানেজমেন্টের কাছে মধুর ব্যাপার। কারণ তারা মনে করেন একজন এমপ্লোয়কে দিয়ে যদি সব কাজ করানো যায় তাহলে তাদের কোম্পানির অর্থনীতি মার্বেলের মত ঘুরবে। অনেকাংশে সেই এমপ্লোয়ও ব্যাপারটা সাদরে গ্রহণ করে। সে ভাবে তাকে হয়ত এটা আলাদা প্রিভিলেজ দিবে।কিন্তু এখানেই যত গলদের শুরু। ন্যাচারালি প্রতিটা মানুষের একটা নিজস্ব ফিচার থাকে। ধরুন কেউ কম কথা বলে এটা তার ফিচার। এখন ম্যানেজমেন্ট যতই ট্রেনিং করাক সে হয়ত কথা বলে এক্সট্রোভার্ট ন্যাচারে ল্যান্ড করতে পারবেনা।
একটা জিনিষ প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়ায় আর সেটি হলো সঠিক জায়গায় সঠিক লোকটাকে স্থানান্তর করা। ম্যানেজমেন্ট এই জায়গায় রিক্রুটমেন্টের সময়ই এই ব্যাপার ক্ল্যারিফাই করে ফেললে পরবর্তীতে অনেক সহজ হয়ে যায়। আবার এক্সিসটিং এমপ্লোয়কেও তার ফিচার অনুযায়ী সেট করা এখানে প্রয়োজন। না হলে এই ব্যাপারটা শর্ট টার্মে যেকোন কোম্পানিকে হেল্প করলেও লং টার্মে বিপদজনক হয়ে দাড়ায়।
সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয় না এই ব্যাপারটা বুঝতে দেরি হলে পরবর্তীতে কামব্যাক করার সুযোগ খুব কম থাকে।
কারণ দিন শেষে সব অর্গানাইজেশনই দ্য রাম্বল ইন দ্য জাংগলে সমস্ত অডের এগেইন্সটে মুহাম্মদ আলী যেভাবে জো ফোর ম্যানকে হারিয়ে রিং এ সেলিব্রেট করেছিল সেভাবেই সেলিব্রেট করতে চায়………