উন্নত বিশ্বে সাপ্লাই চেইন
উন্নত বিশ্ব শব্দ দুটি শোনার সাথে সাথেই আমাদের মানসপটে যেই দেশসমূহের কথা ভেসে উঠে, তাদের মধ্যে অন্যতম দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। সেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তাদের অনবদ্য সাপ্লাই চেইন সিস্টেমকে। ইন্টেলের সেমিকন্ডাক্টর থেকে শুরু করে মাইক্রোসফটের এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার, তাদের সাপ্লাই চেইন বিজনেসের প্রয়োজনীয় পণ্য এবং পণ্য সংক্রান্ত যত সার্ভিস তা প্রদান করার ক্ষেত্রে গুরূত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, কোন ইন্ডাস্ট্রি গুলো সাপ্লাই চেইনের অন্তর্ভুক্ত, সাপ্লাই চেইনে থাকা কাজের সংখ্যা কত কিংবা কাজের গুণমান তা কেউই পরিমাপ করেনি। এমনকি এটি যে ভোক্তার জন্যে নতুন নতুন পণ্য কিংবা সার্ভিস উদ্ভাবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়টিও কেউ ভেবে দেখেনি।এই সকল প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি একটি রিসার্চ করে, যা থেকে জানা যায় যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭.৫% জব প্রফেশনালসই সাপ্লাই চেইনের অংশ, যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হিসেবে পরিগণিত! এমনকি এসব জব প্রফেশনালসদের গড় আয় অন্য জব প্রফেশনালসদের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। এছাড়াও অর্থনীতিতে নতুন নতুন ইনোভেশন আনার জন্যে সাপ্লাই চেইনের অবদান অনস্বীকার্য।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সাপ্লাই চেইনের প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। দিন দিন ই-কমার্স বিজনেসের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়া এবং আমাদের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি হওয়া সেই দিকটিই ইঙ্গিত করছে।
আমরাও যদি সাপ্লাই চেইনের সম্ভাবনার দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে দক্ষ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনালস তৈরীর দিকে নজর দেই, তাহলে আমাদের প্রফেশনালসরাও হয়তো উন্নত বিশ্বের মতোই অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে দারুণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। একই সাথে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে উন্নত, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ।