স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট – ২
৪. কমিউনিকেশনে হোন সুচারু:
আমাদের অধিকাংশের একটি সমস্যা হল, আমরা ক্লিয়ারলি কমিউনিকেট করি না।
বসের সঙ্গে হোক কিংবা কলিগ কিংবা জুনিয়রের সঙ্গে, হয় নিজের মতন করে কমিউনিকেট করি — যেটা ঐ প্রান্তে ভুল-বুঝাবুঝির সৃষ্টি করে। অথবা দায়সারা ভাব করি, টাইমলি কমিউনিকেট করি না।
আপনার বসের ইন্সট্রাকশন বোঝা, তাকে রিপোর্ট করা, কোনো প্রশ্ন/জটিলতা থাকলে জিজ্ঞেস করা, জানানো — এগুলো সুস্পষ্টভাবে কমিউনিকেউ করতে হবে। একইভাবে কলিগদের সঙ্গে বা জুনিয়রদের সঙ্গেও যেকোনো কমিউনিকেশন ক্লিয়ারলি ও টাইমলি করতে হবে। মিস্-কমিউনিউকেশন, প্রয়োজনের কম অথবা বেশি কমিউনিকেশন – এগুলো সবই স্ট্রেস বাড়ায়। প্রয়োজনীয় কমিউনিকেশন ক্লিয়ারলি করার অনুশীলন করুন। মাথা ঠান্ডা থাকবে।
৫. আরামের জন্য সময় বের করুন:
রেস্টবিহীন অর্থাৎ অবিরাম কাজ কোরেন না। রিক্রিয়েশনও জরুরি। ব্রেইনের কাজ টানা ৩/৪ ঘন্টা কাজ না করে এক-দেড় ঘন্টা কাজ করে ছোট্ট বিরতি নিয়ে আবার কাজ করে দেখুন, ফল ভালো হবে। আজকাল তো কমিউটার অথবা ল্যাপটপে টানা একনাগাড়ে আমরা অনেক সময় বসে থাকি! চোখের ক্ষতি, পিঠের ক্ষতি – কত মানসিক আর শারীরিক ক্ষতির যে সম্মুখীন হই তারপর!
রেস্ট আর রিক্রিয়েশন জীবনে স্ট্রেস কমায়।
৬. নিজেকে সঠিকভাবে ম্যানেজ করুন :
জব মানেই চ্যালেঞ্জ। আমরা অনেক মনে করি আমার জবেই শুধু জটিলতা, সমস্যা আর অসুবিধা। অনেকে মনে করি, আমার বসই দুনিয়ার সবচে’ খারাপ বস্।
আপনার যা করণীয়, যতটুকু করণীয় সেটা করুন। নিজের দায়-দায়িত্ব ঠিক-ঠাক মতন পালন করুন। যদি বর্তমান জবটিতে অস্বস্তি লাগে, সমস্যা বেশি বলে মনে হয়, এক কাজ করুন! মনকে স্থির করুন যে, কমপক্ষে তিন মাস ঠিক মতন নিজ দায়-দায়িত্ব পালন করবেন, তারপর দেখুন কী হয়। ধীরে সুস্থে ডিসিশন নিন। এতে স্ট্রেস কমবে।
অভিজ্ঞতা বলে, যারা নিজেকে ভালোভাবে ম্যানেজ করতে পারে তারা প্রফেশনাল লাইফে চমকায়, উপরে উঠতে পারে।
পরিশেষে জেনে রাখুন, প্রতিকূলতায় সুন্দরভাবে ধৈর্য ধরে কোপ করার কোনো বিকল্প নেই! মাথা গরম করে কিছু বলে দেওয়া সহজ, তার থেকেও সহজ চাকরি ছেড়ে দেওয়া! ঘনিষ্ঠ সিনিয়রদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলাপ করুন, কিন্তু শুধু আলাপের জন্য নয়! পরামর্শ করুন — কী করলে ভালো।
অনেক সিনিয়ররাই এ কথা বলেন যে, আমি জীবনের ঐ প্রতিকূল সময়টিতে বা অমুক রাগি বসের অধীনে অনেক কিছু শিখেছি। সুতরাং, হতে পারে আপনার এই কষ্টের সময় লার্নিং হয়ত সবচেয়ে বেশি হচ্ছে!