কর্মস্থল থেকে ঘরে ফেরার জন্য টেম্পোতে চড়ল আলম। করোনা‘র জন্য লোকজন ভীত সন্ত্রস্ত। রাস্তা বেশ ফাঁকা। টেম্পোতে অর্ধেক লোক নেয়া হয়েছে। ভাড়া দ্বিগুণ। আলমের মনটা খারাপ। এমনিতেই ইনকাম কম তার ওপর খরচ বেড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
টেম্পো চালু হওয়ার সাথে সাথেই একজন লোক ঝুলেই উঠে পড়ল। আলমের মেজাজটা আরও খারাপ হল। কন্ডাকটরকে বকল কিছুক্ষন, ‘মিয়া ভাড়া তো ডাবল নিছো, লোক তো কম উঠাতে চাও না।’ ঝুলন্ত ভাই খুব কাঁচুমাচু করে বলল, ‘বাস-টেম্পোতে লোক কম নেয়াতে আসা যাওয়া কঠিন হয়ে গেছে ভাই’। আলম মাস্কটা খুলে হাসি দিয়ে বসার জায়গা করে দিল। বসেন ভাই, করোনায় মানুষ মরছে, মানবতা মরেনি। আপনাকে বলিনি। আপনার কি দোষ! শুনলাম করোনা থেকে বাঁচতে আবার লকডাউন। কিন্তু লকডাউনে ঘরে বসে থাকলে এত খরচ কিভাবে সামলাব তাই ভেবে মনটা খারাপ।
প্রশ্নটা সকলকেই ভাবিয়ে তুলেছে। পুরো টেম্পোতে একটা থমথমে নীরবতা। গন্তব্য এলে নেমে পড়ল আলম। হাঁটতে হাঁটতে বিকেলের রাঙা আকাশটার দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল সে। অদৃশ্য স্বত্তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল যেন, এভাবে আর কতদিন…।