হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ২টি নন প্রফিট অর্গানাইজেশনের ৪৫০ জন কর্মীর উপরে ২ বছরেরও অধিক সময় ধরে একটি জরিপ পরিচালনা করে। যেখানে সকল কর্মীদেরকে ৪টি ভাগে ভাগ করা হয়।যথাক্রমে এগুলো হলোঃ Enthusiastic Stayers, Reluctant Stayers, Enthusiastic Leavers এবং Reluctant Leavers।
কর্মীদের মধ্যে যারা প্রতিষ্ঠানে থাকতে ইচ্ছুক এবং শেষ পর্যন্ত থেকে গিয়েছে তারাই হচ্ছে Enthusiastic Stayers, এবং যারা প্রতিষ্ঠান থেকে চলে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা সত্ত্বেও থেকে গিয়েছে তারা হচ্ছে Reluctant Stayers। অন্যদিকে যারা থাকার ইচ্ছা পোষণ করে অর্গানাইজেশন ত্যাগ করে তাদেরকে বলা হচ্ছে Reluctant Leavers, এবং যারা চলে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে এবং অবশেষে চলে যায়, তাদেরকে বলা হয় Enthusiastic Leavers উল্লেখিত জরিপটি থেকে জানা যায়, প্রায় ৩৮% কর্মীই Enthusiastic Stayers, সর্বোচ্চ ৪২% Reluctant Stayers, ১৬% Enthusiastic Leavers এবং ৪% হচ্ছে Reluctant Leavers। যদিও প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ধরণ আলাদা তবুও, হার্ভার্ডের এই জরিপটি Gallup’s 2020 এর ফলাফলগুলোর সাথে সামঞ্জস্যতা রাখে বলে মনে হচ্ছে যেখান থেকে জানা যায় শুধুমাত্র ৩৯% মার্কিন কর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোতে রয়েছে যারা আসলেই যারা সত্যিকার অর্থেই কাজের প্রতি অত্যন্ত প্যাশনেট এবং তাদের কাজ ও কর্মক্ষেত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কারা উৎসাহের সাথে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছে বা করবে তা জানা সংস্থাগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তহবিল সংগ্রহকারীদের বছর শেষের আর্থিক হিসাব পরিমাপ করার সময় হার্ভার্ড জানতে পারে যে উৎসাহী অবস্থানকারীরা গড়ে ৩.১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে যেখানে অনিচ্ছুক অবস্থানকারীরা ২.২ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে, যা 40% এরও কম। সুতরাং, কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠান ছেড়ে না যাওয়া ছাড়াও, উৎসাহী অবস্থানকারীরা তাদের উচ্চতর উৎপাদনশীলতার কারণে সংস্থাগুলোর জন্য বিশেষভাবে মূল্যবান বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হলো একটি অর্গানাইজেশন কিভাবে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকতে ইচ্ছুক অবস্থানকারী (Enthusiastic Stayers) এবং অনিচ্ছুক অবস্থানকারী (Reluctant Stayers) দেরকে পৃথক করতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর মূলত নিহিত রয়েছে কর্মীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে কতটুকু ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে তার মাত্রার উপর। একজন কর্মী Enthusiastic Stayers নাকি Reluctant Stayers, তা বোঝার জন্যে সুপরিচিত অনেক প্রেডিক্টর রয়েছে যেমন Job Satisfaction, Job Performance, Job Embeddedness ইত্যাদি। কিন্তু এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো এই মাত্রাটি বের করা যে একজন কর্মী অর্গানাইজেশনের সাংগঠনিক কাঠামোকে নিজের জন্যে কতটা আপন করে নিয়েছে। এই মাত্রা নিরূপণ করার মাধ্যমেই জানা যায় যে একজন নির্দিষ্ট কর্মী কতটা উৎসাহী হয়ে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছে। একজন কর্মীর ক্ষেত্রে এই মাত্রাটি বের করার জন্যে তিনটি সাব ডাইমেনশন রয়েছে; তা হলো অর্গানাইজেশনের সংস্কৃতি বা কালচারের সাথে সামঞ্জস্যতা থাকা, সহকর্মীদের সাথে তার সম্পর্ক এবং চাকরিটি ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাকে কি কি স্যাক্রিফাইস করতে হবে সেই বিষয়গুলো আইডেন্টিফাই করা। এই সবকিছুই হলো রিসার্চ বেইসড কিছু পরামর্শ যার মাধ্যমে আমরা একজন Enthusiastic Stayer- কে আইডেন্টিফাই করতে পারি এবং অর্গানাইজেশনে তাদেরকে ধরে রাখার জন্যে যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।