আপনি কি প্যাশনেট কর্মীদের ধরে রাখতে চেষ্টা করছেন?
আপনি কি প্যাশনেট কর্মীদের ধরে রাখতে চেষ্টা করছেন?
সারসংক্ষেপঃ মহামারী ও মহামারী পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বেই অবিশ্বাস্যভাবে কর্মীদের ছাটাই এবং পদত্যাগের ঢেউ লক্ষ্য করা গিয়েছে। কোম্পানিগুলো তাদের ট্যালেন্টেড কর্মীদের ধরে রাখার কৌশলকে পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য হয়েছে৷ এই বিষয়ে গবেষকদের গবেষণা পরামর্শ দেয় যে, অর্গানাইজেশন গুলোকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা উচিত এবং এমন কর্মীদের উপর ফোকাস করা উচিত যারা শুধু বসের কথায় উঠবস করার জন্যে কাজ করবেন না বরং কাজের প্রতি প্রচণ্ডভাবে প্যাশনেট হবেন। এই লেখাটি কাজের প্রতি প্যাশনেট কর্মীদের শনাক্ত করার এবং অর্গানাইজেশনে তাদেরকে ধরে রাখার উপায় বাতলে দিবে।
কোভিড – ১৯ মহামারী, চাকরির বাজারে প্রতিভার যুদ্ধের দামামাকে আরো নতুনভাবে প্রসারিত করেছে। যদিও এই সময়ে অনেক কর্মীই চাকরি হারিয়েছেন, কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে চাকরির বাজার প্রতিভা সংকটে ভুগছে। প্রতিষ্ঠানগুলো কম মেধাবীদের চাকরি থেকে বের করে দিয়ে এমন ট্যালেন্টদের দিকে ঝুঁকছে যারা প্রতিষ্ঠানে একই সাথে অধিক সক্রিয় এবং অনেক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে সক্ষম। সেজন্যে উন্নত বিশ্বের প্রতিষ্ঠানগুলো অধিক মজুরি দিতেও কার্পণ্য করছে না।
যদিও এই শর্ট টার্ম কৌশল শূণ্য পদগুলো পূরণে কার্যকর কিন্তু দিনশেষে প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করছে, এই প্রতিভা সংকটের এই বাজারে যাদেরকে তারা নিয়োগ দিয়েছে তাদের অধিকাংশই তাদের ট্যালেন্টের সঠিক ব্যবহার করতে পারছে না। এর ফলে তারা কিছুদিনের মধ্যেই চাকরি থেকে পদত্যাগ করছে অথবা প্রতিষ্ঠানে থেকে গেলেও তাদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ হচ্ছে নিম্নমুখী। এর অন্যতম কারণ হলো একজন কর্মীর প্রতিভা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে থাকলেও আরেকটি বিষয়ে তার যথেষ্ট ট্যালেন্ট না থাকা।
এই শর্ট টার্ম সলিউশন থেকে বেরিয়ে এসে অর্গানাইজেশনের এক্সিস্টিং মানবসম্পদের মধ্যেই সূক্ষ্মদৃষ্টির মাধ্যমে খুঁজে বের করা উচিৎ যে কারা শুধুমাত্র চুক্তির স্বার্থে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আছে। তাদেরকে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে যারা কাজের প্রতি প্রচণ্ড প্যাশনেট এবং নিজের উন্নতি সাধনে সদা সচেষ্ট, তাদের দিকেই ফোকাস করা এবং তাদের কাজের পরিবেশকে আরো কমফোর্টেবল করাই একটি প্রতিষ্ঠানের জন্যে অধিক কার্যকরী।
চলবে…