‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যটিস্টিক্যাল রিভিউ-২০১৯’ এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ ৪২তম বড় রপ্তানীকারক দেশ। আর আমদানীতে ৩০তম।
আপনি যখন কাউকে জিজ্ঞাসা করবেন, ব্যবসা যে করছেন, তা হালাল পথে করছেন তো? খুব সহজ উত্তর হবে-হাঁ, করছি তো, কারণ কোনো সুদী ব্যাংক লোন নেইনি।
ইসলামী অর্থনীতিতে শুধু রিবা-ই নিষিদ্ধ নয়; আরো কিছু বিষয়ও নিষিদ্ধ। পণ্য Possession করার আগেই বিক্রয় করা। একটা চু্ক্তির সাথে আরেকটা চু্ক্তি শর্ত করে দেয়া। পূঁজির আনুপাতিক হারে প্রফিট নির্ধারণ করা ইত্যাদি বেশ কিছু বিষয় এমন, যেখানে ব্যাংকিং সুদ নেই। অথচ তা শরীয়াহ্ পরিপন্থী।বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তেমনি। আপনি ইসলামী ব্যাংকিং-এর সাথে লেনদেন করার মানেই আপনার ব্যবসা হালাল হওয়া নয়। এর কারণ-ইসলামী ব্যাংকিং-এর ফিন্যান্সিয়াল প্র্যাক্টিস শরীয়াহ্ অনুযায়ী হওয়া শর্ত। যা আপনাকে আলাদা করে খোঁজ খবর রাখতে হবে।কারণ যে ভাইটি আপনাকে ইসলামিক ব্যাংকিং এর পক্ষ থেকে বিনিয়োগ সেবা/এল.সি. সেবা দিচ্ছেন, তিনি তো (কিছু ক্ষেত্র ভিন্ন) আপনার মতই। ঠিকঠাক মতো শরীয়াহ্ নির্দেশনা ফলো হচ্ছে কি না- তা চোখ বন্ধ করে সুবিধা নিলে হবে না।
-ব্যাংক শুধ আপনার এল.সি. ওপেন করে দিচ্ছে। এর বাহিরে বেশ কিছু বিষয় এমন, যার শরীয়াহ্ পরিপালন আপনাকেই করতে হবে।
যেমন, পণ্যের অর্ডার করার সময় পণ্য উপস্থিত না থাকতেই Contract of sell কনফার্ম করে ফেলা। B.L. হাতে না পেয়েই তা অন্যত্র বিক্রয় করে দেয়া। মুরাবাহায় মূল্য নির্ধারিত হওয়ার পর পুনরায় মেয়াদান্তে অতিরিক্ত গ্রহণ করা ইত্যাদি ইস্যূস।