কথার ধার ভয়ঙ্কর
মানুষের কথার অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে। স্রেফ কথা দিয়ে মানুষকে মূহুর্তে চুম্বকের মতো কাছে টেনে নেওয়া যায়। আকৃষ্ট করা যায়। মুগ্ধ করা যায়। শুধুমাত্র কথা দিয়ে স্বপ্নও দেখানো যায়। এনকারেজ করা যায়। মোটিভেট করা যায়।কথা, শব্দ, গলার স্বর এসবের মধ্যে আছে সৃষ্টির এক অপার সৌন্দর্য! শব্দ চয়ন, অভিব্যক্তি, গলার স্বর, মননশীলতা এই আকর্ষণ এক অদ্ভুত চুম্বক।আবার এই কথাই একটা মানুষকে দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারে। এই কথা দিয়ে একটা যুদ্ধও বাধিয়ে ফেলা যায়। কেবল সামান্য একটি বাক্যই কাছের মানুষ থেকে আপনাকে দূরের মানুষ বানিয়ে দিতে পারে । কোনো ব্যাপার না আপনাদের পরিচয় কত দিনের, সম্পর্কটা কত গভীর, আপনাদের মধ্যে কত বেশি আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে। কিছুই ম্যাটার করেনা । মূহুর্তের মধ্যেই দম বন্ধ হওয়ার মতো অনুভূতি আপনার হতে পারে। কথার এমনই ধার !
সুতরাং, যখন কথা বলবেন ; বুঝে , শুনে , চিন্তা করে মার্জিত ভাষায় কথা বলুন। কারো বুকে লাগে এমন কথা বলা থেকে বিরত থাকুন । কথার আঘাত বড্ড ভয়ংকর! একবার কথা দিয়ে আঘাত দিয়ে ফেললে পরে হাজারটা সুন্দর কথা বলেও সেই আঘাতের দাগ সরানো যায় না! তাই কথা বলতে গিয়ে ভাবুন। একশোবার ভাবুন! কথার সৌন্দর্য আর কথার আঘাত দুটোই ভীষণ ভয়ংকর!
প্রফেশনাল লাইফে যাদের কথার উপরে অনেক কিছু ডিপেন্ড করে তারা হচ্ছে HR ম্যানেজার। আপনিও হয়তোবা দীর্ঘদিন HR ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেছেন। কিন্তু আপনি ভাবছেন সবকিছুই আপনার নখদর্পনে, ডেভেলপমেন্টের কোনো এরিয়া নেই। আপনি আপনার সব কাজ টাইম টু টাইম ও গুছিয়েই করেন; যেকারণে আপনি নিজেকে মনে করছেন সেরা HR ম্যানেজার! যেহেতু আপনি নিজেকে খুব ভালো HR ম্যানেজার ভাবেন তাই মনে করেন আপনার টিম মেম্বার বা অন্যান্য এইচআরদেরও আপনার মতো হওয়া উচিত। কিন্তু আপনার খুব ছোট একটা কথায় কিংবা কাজে, আপনার টিমের মোটিভেটেড কোনো এমপ্লয়ি এমনভাবে ডিমোটিভেটেড হতে পারে যার ফলে ডেডিকেশন থেকে দূরে সরে যেতে পারে যা আপনি হয়তোবা কল্পনাই করতে পারেন না! HR ম্যানেজার হিসেবে নিজেকে বেস্ট মনে করলেও কথা বলা বা প্রকাশের যে সৌন্দর্য আছে সেসবকে ততোটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়না। সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে 𝗘𝗺𝗽𝗮𝘁𝗵𝘆, 𝗖𝗼𝗻𝗳𝗹𝗶𝗰𝘁 𝗠𝗮𝗻𝗮𝗴𝗲𝗺𝗲𝗻𝘁, 𝗘𝗺𝗼𝘁𝗶𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗜𝗻𝘁𝗲𝗹𝗹𝗲𝗴𝗲𝗻𝗰𝗲 এসব যে ইম্পর্ট্যান্ট হয়ে উঠেছে তা মানতে নারাজ।
অথচ গবেষণা বলছে, হ্যাপি এমপ্লয়িরা অন্যান্যদের তুলনায় ২০% বেশি প্রোডাক্টিভ ! হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের একটি গবেষণা অনুসারে, কাজে হ্যাপি মানুষেরা আরও কোলাবোরেটিভ, প্রোডাক্টিভ এবং সহকর্মীদের সাথে তাদের আরও বেটার সম্পর্ক হয়ে থাকে। একটি হেলদি এবং কমফোর্টেবল কাজের পরিবেশ মানসিক স্বাস্থ্য, কাজের মেজাজ এবং প্রোডাক্টিভিটিকে প্রভাবিত করে যা এমপ্লয়ী থেকে বেস্ট আউটপুট পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
HR ম্যানেজার হিসেবে নিজের ডেভেলপমেন্টের কোনো এরিয়া নেই এমন ভাবনার কারণে হয়তোবা অনেক লুপহোল আপনার চোখেও পড়ছে না ! মান্ধাতার আমলের নিয়মেই HR পরিচালনা করেন। যে কারণে আপনার টিম ডেডিকেটেড থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না। এর কারণ কি সেটাও ফাইন্ড আউট করতে পারছেনা কেউ ! যেহেতু নিজেকে আপডেট করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না তাই কোনো ধরনের কোর্সও করেন না কিংবা আশেপাশে দেখলেও তা এড়িয়ে যান !
একজন সত্যিকারের প্রফেশনাল HR হয়ে উঠতে প্রয়োজন নিজেকে সময়ের সাথে আপডেট রাখা প্রয়োজন। গতানুগতিক HR ম্যানেজমেন্টের চাইতে আউট অব দ্য বক্স চিন্তা করে যুগোপযুগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ আপনাকে আরও অনন্য করে তুলবে। 𝐇𝐚𝐩𝐩𝐢𝐧𝐞𝐬𝐬 𝐚𝐭 𝐰𝐨𝐫𝐤𝐩𝐥𝐚𝐜𝐞, 𝗘𝗺𝗼𝘁𝗶𝗼𝗻𝗮𝗹 𝗜𝗻𝘁𝗲𝗹𝗹𝗶𝗴𝗲𝗻𝗰𝗲, 𝐇𝐑 𝐀𝐮𝐝𝐢𝐭, 𝐂𝐨𝐧𝐟𝐥𝐢𝐜𝐭 𝐌𝐚𝐧𝐚𝐠𝐞𝐦𝐞𝐧𝐭 এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিয়ষগুলোর উপরও ট্রেইনিং। আর এইসব আধুনিক 𝐇𝐑 প্র্যাকটিস গুলোকে হাতে-কলমে শিখার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন দক্ষ ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টস। বর্তমানে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আধুনিক কন্টেন্ট সহ 𝗣𝗚𝗗𝗛𝗥𝗠 কোর্স অফার করছে। যার মধ্যে রয়েছে একাডেমি অফ বিজনেস প্রফেশনালসের অফার করা 𝗣𝗚𝗗𝗛𝗥𝗠 কোর্স।
আট মাস মেয়াদী এই কোর্সটি সম্পন্ন করে আপনি যুক্তরাজ্যের প্রফেশনাল এওয়ার্ডিং বডি ‘𝗘𝗱𝘂𝗽𝗿𝗼, 𝗨𝗞’ থেকে 𝗣𝗚𝗗𝗛𝗥𝗠 সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারবেন। একইসাথে আপনি অর্জন করবেন 𝗖𝗣𝗗 𝗨𝗞 থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টার সিপিডি সার্টিফিকেট ক্লেইম করার যোগ্যতা। সুতরাং কোর্সটিতে আপনি আধুনিক কোর্স কন্টেন্ট আর ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ট্রেইনারদের তো পাচ্ছেনই সাথে পেয়ে যাচ্ছেন গ্লোবাল রেকগনিশন!!