বর্তমান সময়ের হট টপিকগুলোর অন্যতম হচ্ছে ডাটা সাইন্স ! হাভার্ডের বিজনেস রিপোর্ট বলছে, একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল জব সেক্টর হবে ডাটা সাইন্স !! গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনস ইন্সটিটিউটের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি চাকরি অটোমেশনের কারণে হারিয়ে যাবে। আর এসব দখল করে নিবে Artificial Intelligence, Data Driven System বা রোবটের মত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অকল্পনীয় সব প্রযুক্তি। সামনের সেই দিনগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিতে ডাটা সাইন্সের মতো স্কিল অর্জন করা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডাটা আসলে কি? ডাটা সাইন্স কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে?
ডাটা শব্দটির সাথে পরিচিত নয় বর্তমান সময়ে এমন মানুষের সংখ্যা বোধহয় খুবই কম। আসলে দুনিয়াটা চলছেই ডাটার উপরে, যদিও ডাটা স্পর্শ করা যায় এমন কিছু নয়। ডাটা হচ্ছে ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্র অংশ। একাধিক ডাটার সমন্বয়ে ইনফরমেশন তৈরি হয়।
ডাটা সাইন্সের ব্যবহারিক ক্ষেত্রও অনেক বিশাল। আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে কিছু উদাহরণ দেখা যাক। এই যেমন, আমাদের দেশের পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় সারা বাংলাদেশের পরীক্ষার্থীদের প্রতিটি পরীক্ষার নম্বর হলো ডাটা। এই ডাটাগুলোকে একত্রিত করে আমরা বিভিন্ন তথ্য পেতে পারি। যেমন, সারা দেশের পাশের হার, প্রতিটি বোর্ডের পাশের হার এবং কোন স্কুলের জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেশি। এই তথ্যগুলো ডাটা থেকেই পাওয়া সম্ভব।
অতি পরিচিত আরেকটি উদাহরণ দেয়া যাক। বর্তমানে Google আমাদের সবার পরিচিত নাম। এই গুগলে আপনি Log In থাকা অবস্থায় যেকোনো কিছু লিখে Search করে যে রেজাল্ট পাবেন আর Log In না থাকা অবস্থায় একই keyword সার্চ করেন তাহলে রেজাল্ট কিছুটা হলেও different পাবেন। এমনটা কেন হয় সেটা ভেবে দেখেছেন কখনো? কারণ হলো গুগল আপনার পছন্দ-অপছন্দ অনেক কিছুই জানে। আর সে অনুযায়ী আপনার জন্য Personalized Search Result তৈরি করে করে তা আপনাকে show করে। Artificial Intelligence -এর মাধ্যমে গুগল এমনটি করে থাকে।
তেমনিভাবে আপনি কী করেন, কোথায় ঘুরতে যান, কোথায় খান, কোন দোকানে শপিং করেন, কী ধরনের শপিং করেন সেসবের অনেককিছুই এখন ট্র্যাক করা সম্ভব এবং হয়ও। আপনার হাতের স্মার্টফোনটি আপনার গতিবিধি সবকিছুই রেকর্ড করছে। আপনি হয়তো জানেন না অথবা জেনেও কিছু বাড়তি সুবিধা দিয়ে গুগল আপনার কাছ থেকে এই তথ্যগুলো কালেক্ট করে নিচ্ছে। এতে গুগলের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য তো অবশ্যই আছে সেই সাথে আপনাকেও অনেক কিছু সহজে করে দিচ্ছে। এসব তথ্য নিয়ে গুগলের মেশিন আপনার সম্পর্কে লার্ন করছে বা শিখছে। আর আপনাকে চিনছে।
লোকেশনের কথাই ধরা যাক। ধরুন, আপনি একটি স্মার্টফোন দিয়ে রাস্তায় হাঁটছেন। আপনার ফোনের GPS আপনার অবস্থান ট্র্যাক করছে। গুগল এই তথ্য ব্যবহার করে আপনার গতিবিধি, আপনি কোথায় যান, এবং আপনি কী করছেন তা জানতে পারে। আপনি যদি কোনো Restaurant-এ যান, তাহলে গুগল রেস্টুরেন্টের নাম এবং ঠিকানা সংরক্ষণ করবে। গুগল এই তথ্য ব্যবহার করে আপনার খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস সম্পর্কে জানতে পারে। এই তথ্যগুলো ব্যবহার করে গুগল Data Analysis করে পরবর্তীতে আপনাকে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে।