Blog, Productivity

টাইম ম্যানেজমেন্ট করার শ্রেষ্ঠ উপায়

time-management

আপনি কি জানেন প্রতিটি মানুষের সময়ের ঘড়ি ভিন্ন? এটা আপনাকে মানতে হবে।

টাইম ম্যানেজমেন্ট সব সময় নিয়মিত চর্চা করতে হয়। একদিন হয়তো আপনি খুব সুন্দর করে টাইম ম্যানেজ করে দিনটি শেষ করলেন, কিন্তু এরপর দিন দেখা যাবে টাইম গুলো সঠিক ভাবে ম্যানেজ করতে পারছেন না।

প্রতিটি মানুষের সময়ের ঘড়ি ভিন্ন এটা আপনাকে মানতে হবে। আপনি সেট করতে হবে আপনার প্রতিদিনের সময় গুলোকে। অনেকে লম্বা একটি লিস্ট তৈরি করে রাখে এই লিস্টের পক্ষে আমি নই।

প্রতিদিন মানুষের জন্য দুই ধরনের কাজ থাকে। যথা:

একটি হচ্ছে ইমার্জেন্সি কাজ: যে কাজগুলো এখনই এই মুহূর্তে শেষ করতে হবে। এগুলোর জন্য সময় নেওয়া যাবে না। এরমধ্যে কিছু কাজ আপনার নিজেকে করতে হবে। আর কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো আপনি চাইলে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। যে কাজগুলো ইমারজেন্সি কিন্তু আবার চাইলে কাজগুলোকে অন্যের মাধ্যমে করিয়ে নেওয়া যায়,সেই গুলোকে অন্যের দ্বারা সম্পন্ন করিয়ে নিলে আপনার জন্য ভালো হবে। আপনার সময়টা অন্তত বেঁচে যাবে।

ইম্পরট্যান্ট কিন্তু ইমারজেন্সি নয়: স্কিল ডেভেলপমেন্ট, এটা আপনার জন্য ইমারজেন্সি নয়। চাইলে আপনি অন্য সময় করতে পারবেন কিন্তু নিজেকে যোগ্য করে তোলার জন্য একাজগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সবসময় ইমারজেন্সি কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন তাহলে আপনি সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন না।

শুরুটা কিভাবে করবেন?
মানুষের মস্তিষ্ক সবসময় পরিচিত এবং সহজ কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি করে। সবসময় চায় নিজেকে চাপমুক্ত রাখতে তাই এটা আপনার সাথে একটু গেইম খেলবে। আপনি যখন নতুন দিনটি শুরু করবেন প্রথমে আপনার ভাবতে হবে আজকের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ কোনটি! দিনের শুরুটা যেন হয় সবচেয়ে কঠিন কাজ দিয়ে। যখন আপনি কঠিন কঠিন কাজ গুলো শেষ করে ফেলবেন তখন সহজ কাজ গুলো করতে আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে সে কাজগুলো করতে জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করবে।

টাইম ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে একটি লং টাইম প্রসেস। সব সময় আপনাকে চর্চা করতে হবে। এভাবে একটা সময় আপনার দৈনিক কাজের সাথে যখন মিশে যাবে তখন আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে না। অটোমেটিক সবকিছু সিস্টেমে মত চলতে থাকবে।
নিজের শরীরের সাথে নিজের ঘড়িটি ফিট করে নিতে হলে আপনাকে প্রথমে খুব সতর্কতার সাথে টাইম ম্যানেজমেন্ট চর্চা করতে হবে।

আপনি চাইলে আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোকে টু ডু লিস্টে যুক্ত করে সিরিয়াল অনুযায়ী কাজগুলো শেষ করতে পারেন। কখনো সহজ কাজগুলোকে প্রথমে রাখা যাবে না। আমরা যে ভুল টা করি তা হলো প্রথমে সহজ কাজগুলো শেষ করে ফেলি এরপর একটা সময়ে মনেনহয় আজ তো অনেক কাজ করেছি বাকিগুলো আগামীকাল করবো! এভাবেই কাজগুলো প্রতিদিন পড়ে থাকে শেষ করার হয়ে ওঠে না।