কর্মক্ষেত্র বা অফিসে আমাদের কারও জন্যই সবসময় ১০০% পজেটিভ থাকা সম্ভব হয় না। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে, প্রফেশনাল ওয়ার্কপ্লেসে আপনার মুড বা যেকোন একটিভিটি পুরো অর্গানাইজেশনকে এফেক্ট করতে পারে। তাই একটি পজেটিভ এটিটিউড মেইনটেিন করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
পজেটিভ থাকা মানে এই নয় যে আপনি সব নেগেটিভ বিষয়গুলোকে ইগ্নোর করে যাবেন। আপনাকে নেগেটিভ বিষয়গুলোকেও মার্ক করতে হবে এবং পজেটিভ বিষয়গুলোতে ফোকাস করতে হবে। অর্থাৎ নেগেটিভ কিছু ঘটলে আপনাকে সেই প্রবলেমের সল্যুশন খুঁজে বের করতে হবে।
ওয়ার্কপ্লেসে পজেটিভ থাকার কিছু আইডিয়া হলো:
1) ব্রেক নেওয়া: মানুষ হিসেবে আমাদের একটানা কাজ করা উচিত নয়। রিফ্রেশমেন্ট বা ব্রেক ছাড়া একটানা কাজ করতে থাকলে স্ট্রেস এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অফিসে ছোট ছোট ব্রেক নেওয়া এবং ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যাওয়াটা অনেক হেল্প করে। এর ফলে আপনি রেস্ট নেওয়ার পাশাপাশি প্রোডাক্টিভিটিও বাড়াতে পারবেন।
2) ব্যালেন্স মেইনটেইন করা: পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের জন্য সময় রাখুন, ভালো একটি পার্সোনাল লাইফ আপনাকে কর্মক্ষেত্রে পজেটিভ থাকতে সহায়তা করবে। একটানা কাজে ডুবে না থেকে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স রাখাটা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ।
3) কো-ওয়ার্কারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক: দিনের কমবেশী ৮ ঘন্টা সময় আপনি কর্মক্ষেত্রে পার করেন। তাই আপনার মুড ভালো রাখতে কো-ওয়ার্কারদের সঙ্গে ভালো একটি সম্পর্ক রাখা জরুরি। আর বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক তৈরি হলে সেক্ষেত্রে পজেটিভিটি মেইনটেইন করা অনেক সোজা হয়ে যায়।
4) নেগেটিভ মানুষদের থেকে দূরে থাকা: নিজের আশেপাশে কখনও নেগেটিভ মাইন্ডসেটের মানুষকে স্পেস দিবেন না। অনেকেই গসিপ করা, সমালোচনা করতে পছন্দ করে। তাদের থেকেই সবচেয়ে বেশী নেগেটিভিটি তৈরি হয়।
5) ওয়ার্কস্পেস গুছিয়ে রাখা: আপনার অফিস বা ডেস্কটা নিজের মত করে সাজিয়ে রাখুন। ফ্যামিলি ফটো বা আপনার পছন্দের কিছু রাখতে পারেন যা আপনাকে হাসিখুশি ও পজেটিভ থাকতে হেল্প করবে।
6) ইমোশন কন্ট্রোল করা: অনেকসময় আপনার কাজগুলো ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে, সিচুয়েশন আপনার কন্ট্রোলে না থাকতে পারে। তবে, আপনি নিজের মাইন্ডসেট বা ইমোশনকে কন্ট্রোল করতে পারেন, প্রবলেমগুলোকে অপরচুনিটি হিসেবে দেখা এবং চ্যালেন্জ হিসেবে নিতে পারলে অনেক কঠিন সিচুয়েশনেও আপনি ইফেক্টিভলি কাজ করতে পারবেন।
7) ক্রিয়েটিভ হওয়া: যেকোন সেক্টরেই ক্রিয়েটিভলি কাজ করার সুযোগ থাকে। ক্রিয়েটিভ কাজগুলো আপনাকে সেল্ফ-স্যাটিসফ্যাকশন এবং অর্গানািজেনকে ইম্প্রুভ করার সুযোগ এনে দিবে। এর ফলে বাকিরাও আপনাকে একজন কন্ট্রিবিউটর হিসেবে পজেটিভলি দেখবে এবং আপনি নিজেও আরও পজেটিভ থাকতে পারবেন।
শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, আমাদের জীবনে প্রতিদিনই পজেটিভ থাকার অসংখ্য কারণ থাকে, প্রশ্ন হলো আমরা আসলে কোথায় ফোকাস করছি?