Soft Skills in corporate life
ক্যারিয়ারে সফল হতে কি আপনার ডিগ্রীই যথেষ্ট?
কর্পোরেট লাইফে আমাদের টেকনিক্যাল স্কিল এবং ডিগ্রী অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এমন অনেক স্কিল আছে যা টেকনিক্যাল নয় সোশ্যাল। এবং আপনি যে ডিপার্টমেন্ট বা সেক্টরেই কাজ করেন না কেনো, ইফেক্টিভলি কাজ করতে এই স্কিলগুলো আপনার প্রয়োজন হবেই। এই স্কিলগুলোকে বলা হয় “সফট স্কিলস“।
মজার ব্যপার হলো আপনার মাঝে এমন কিছু সফট স্কিল থাকতে পারে যা আপনি নিজেও হয়তো জানেন না। নিচের লিস্ট থেকে খুঁজে নিতে পারেন আপনার স্কিলগুলোঃ
1) Critical Thinking: যখনই কোনো প্রবলেম আসে অথবা আপনাকে একটি টাস্ক এসাইন করা হয় তখন আপনি কি কিছু চিন্তা না করেই কাজ শুরু করেন, নাকি আপনি আগে চিন্তা করেন প্রবলেমটি আসলে কি? কি কি ইনফরমেশন আছে এই বিষয়ে, আপনার কাছে কি রিসার্চ ডেটা,বিজনেস ডেটা এভেইলেভল আছে এই প্রবলেম সলভ করার জন্য বা ডিসিশন নেওয়ার জন্য?
ক্রিটিকাল থিংকিং এজন্যই গুরুত্বপূর্ন যে আপনি কতটা ভালোভাবে ডেটা নিজের ব্রেইনে প্রসেস করতে পারেন। যেকোন এমপ্লয়ির জন্য এটি একটি মাস্ট হ্যাভ স্কিল। কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসার আগে কি কি জিনিস ভাবা উচিত, জানা ও করা উচিত এই বিষয়গুলো বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ।
2) People Skill: মানুষের সাথে আপনি কেমন? মানুষকে বোঝা,তাদের প্রতি এম্প্যাথেটিক থাকা, তাদের কষ্ট বা সমস্যা বুঝতে পারা,ফ্রেন্ডলি থাকা, কথা শোনা ও বোঝা, তাদের ইমোশন ও ট্রিগার পয়েন্ট বোঝা বিজনেস ওয়ার্ল্ডে গুরুত্বপূর্ণ।
3) Communication Skill: আমাদের অনেকেই তার কাজে চমৎকার হলেও ইন্টারপার্সোনাল কমিউনিকেশনের ব্যাপার দূর্বল। যেমনঃ মিটিং বা বিজনেস ভিজিটে কথা বলা,শোনা, নোট করা ইত্যাদি। কমিউনিকেশন স্কিল প্র্যাকটিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই একটি স্কিল সঠিকভাবে প্র্যাক্টিস করতে পারলে আপনাকে ক্যারিয়ারে অনেকদূর নিয়ে যাবে।
4) Basic Management: টিম ম্যানেজমেন্ট, সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট, ডিসিশন মেকিং, কনফ্লিক্ট রিসল্ভিং এই ব্যাসিক ম্যানেজমেন্ট স্কিলগুলো বোঝা জরুরি। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড হলো টিমওয়ার্কের জায়গা,আর যেখানেই টিম বিষয়টি থাকে সেখানে ম্যানেজমেন্ট থাকতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, ইভেন্ট, ডিবেট,ফেস্টে অংশগ্রগণ করলে কমিউনিকেশন স্কিল, ম্যানেজমেন্ট স্কিলগুলে ডেভেলপ করা যায়
5) Language Skill: বিজনেস ওয়ার্ল্ডে লিখতে,পড়তে, বলতে এবং বুঝতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা ইংরেজি বাংলা বা যেকোন ভাষাই হোক আপনাকে পুরোপুরি স্কিল্ড হতে হবে ল্যাঙ্গুয়েজে। নতুন একটি ভাষা জানলে তা আপনাকে অনেক ধরণের সুযোগ এনে দিবে।
6) Persuasion & Negotiation: পারসুয়েশন হলো লেগে থাকা, কোনো কিছু ফলোআপ করা, বিজনেস ডিল শেষে তার সাথে আবার ইন্সট্যান্ট ম্যাসেজিং করা বা কল করা। এছাড়াও কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে ভালো নেগোসিয়েশন স্কিল আপনাকে এডভান্টেজ এনে দিবে।
7) Public Speaking: বিজনেস বা মার্কেটিং থেকে শুরু করে ইনভেস্টমেন্ট,ব্যাংকিং, টেকনোলজি সব জায়গায় এই দক্ষতাটি অত্যন্ত বেশী প্রয়োজন। মিটিংয়ে আপনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পাবলিক স্পিকিং লাগবে। নেগোসিয়েশন, মাল্টি পার্টি ম্যানেজমেন্টে এই স্কিল লাগবে। অডিয়েন্সের সামনে কথা বলতে পারাও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল।
এই সফট স্কিলগুলো নিজের পার্সোনালিটিতে ইমপ্লিমেন্ট করলে এবং প্রোফাইলে ঠিকমত শো করতে পারলে দারুণ একটি ক্যারিয়ার গঠনে আপনি অনেক এগিয়ে থাকবেন।