Blog, Productivity

Smart work vs Hard work

smart-work-vs-hard-work

স্মার্ট ওয়ার্ক করা ইমপ্লয়ি হন,হার্ড ওয়ার্ক করা নয়!!

হার্ড ওয়ার্ক বলতে আমরা বুঝি কোন কাজে আপনার ঘন্টার পর ঘন্টা সময় এবং এনার্জি দিয়ে কাজটি করা,স্মার্ট ওয়ার্ক বলতে বুঝি একই কাজটি কম সময়ে এফেক্টিভ ভাবে করা। অবশ্যই হার্ড ওয়ার্ক করা অনেক বড় একটি গুণ, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে স্মার্ট ওয়ার্ক করে আপনিই লাভবান হতে পারেন।

বেপারটা একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝাই,ধরেন দুই বন্ধুর সামনে কিছু টাকা এবং পয়সা দিয়ে কে কত বেশি নিতে পারে তা পরিক্ষা করতে বলা হল। কয়েন এর পরিমান বেশি দেখে এক বন্ধু কয়েন নেওয়া শুরু করল এবং দ্বিতীয়জন টাকা কালেক্ট করল।পরিক্ষা শেষে দেখা গেল প্রথমজনের হাতে প্রচুর কয়েন এবং সময়ও তার বেশি লেগেছে । কিন্তু তাই বলে কী সে জয়ী??না। দ্বিতীয় জনের কাছে কম টাকা হওয়া সত্তেও এর মূল্য কয়েন থেকে অনেক বেশি।তাই কম সময়ে এবং কম এফোর্ট দিয়েও দ্বিতীয়জন্ ই জয়ী হল।
চাকরি ক্ষেত্রে বলুন কিংবা যেকোনো ক্ষেত্রেই হোক না কেন আপনার টার্গেট হওয়া উচিত স্মার্ট ওয়ার্ক। আসুন স্মার্ট ওয়ার্ক করার কিছু উপায় জানা যাক:

1) Trim the unwanted : ️আপনাকে ডেডলাইন দেওয়া হল,কিছু কাজের জন্য। টু-ডু লিস্ট টি দেখে আপনি হিমশিম খাচ্ছেন।তাই আপনি একসাথে ২-৩ টা কাজ দিয়ে শুরু করলেন কিংবা ভাবলেন অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আগে করবেন।এর ফলে আপনি কিচ্ছুক্ষন পরেই আনপ্রোডাক্টিভ হয়ে গেলেন এবং সব কাজই অর্ধেক অবস্থায় ফেলে রাখলেন।
এর যায়গায় যা আপনি করতে পারতেন: টু ডু লিস্ট এ শুধু সবচেয়ে জরুরি কাজগুলো রাখতে পারতেন। সময় কম দেখে কোন কিছু না ভেবেই শুরু করার বদলে একটু সময় নিয়ে আগে প্ল্যানিং করতে পারতেন।

2) Measure result, not time: আপনি একটা ব্লগ লিখতে সময় লাগালেন ২ ঘন্টা কিন্তু লিখলেন কম।আবার লিখার মধ্যে আপনি হেডিং,টাইটেল কোনটিই ঠিকমত দিতে পারলেন না। এতে কোন লাভ আছে? আপনি যা করতে পারতেন, আপনার পুরো ব্লগ টিকে সেকশন অনুসারে ভাগ করে নিতে পারতেন।এবং একটি নির্দিষ্ট সময় তার জন্য বরাদ্দ রাখতে পারতেন।এরকম একটা টাইম চেক দিলে দেখা যেত ২ ঘন্টার মধ্যে আপনি আগের থেকে বেশি এবং গুছানো একটি লিখা লিখতে পারতেন।

3) Work in 90-120 minutes block: রিসার্চ বলে, আপনার ব্রেইন ৯০ মিনিট পর্যন্ত ফোকাস রাখতে পারে। তাই কিচ্ছুক্ষণ কাজ করুন, এবং ব্রেক নিন।এ সেশনটিই বারবার রিপিট করতে থাকুন। কিন্তু একটা কথা আছে সেই ৯০ মিনিট বা যত্তক্ষন ই আপনি কাজটিকে ভাগ করেছেন, সেই সময়টিতে শুধু কাজই করেন। কাজের মাঝখানে ফেসবুক, ইমেইল চেক না করে ব্রেক এর সময়টিতে তা করুন। কাজ করার সময়েও একটু পর পর অন্য কিছু তে ফোকাস করলে এ রুলটি কোন কাজেই আসবে না।

4) Communicate and communicate: ফ্রিল্যান্সিংবা ব্যবসা যা ই হোক না কেন আপনাকে কমিউনেকশন এবং একসাথে কাজ করা শিখতে হবে। এটি কেন জরুরি? কারন কাজ করার সময়ে আপনার কাজ নিয়ে কোন কনফিউশান কিংবা ভুল ধারণা থাকলে, একা একা সেটি নিয়ে ভাবতে গেলে আপনার অনেক সময় চলে যাবে।তাই প্র‍্য়োজনীয় কমিউনেকশন সেরে কাজে নামুন।

5) Reduce stress:️ স্ট্রেস ম্যনাজমেন্ট টেকনিক শিখুন। প্যনিকড সিচুয়েশনে কিচ্ছুক্ষণ ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। কাজের মাঝখানে কিছু সময় চোখ বন্ধ করে রাখুন, রিল্যাক্স করুন।এটি সময়ের অপচয় নয়,বরং ব্রেইন কে শান্ত করা,যাতে আপনি পরবর্তীতে আরও ফোকাস থাকতে পারেন।