Mr.X এবং Mr.Y দুজনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের ছাত্র।
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রেজেন্টেশন দিতে ক্যাম্পাসে এসে X এর হঠাৎ মনে পড়ে সে তো এখনও রিপোর্ট এর কপি প্রিন্ট করেনি। প্রিন্ট করে ফিরে এসে দেখল তার আগেই প্রফেসর চলে এসে অপেক্ষা করছে। প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য স্লাইড চালু করতেই তার ল্যাপটপ এর চার্জ শেষ। অতঃপর আরেকজনের ল্যাপটপ এ স্লাইড নিয়ে কোনোরকমে সে তার প্রেজেন্টেশন শেষ করে বের হয়ে বলল “নাহ্ আমার কপালটাই খারাপ”।
অপরদিকে Y তার প্রেজেন্টেশন এর দিনটি আগেই ক্যালেন্ডারে মার্ক করে রাখে, দুইদিন আগেই রিপোর্ট এর প্রিন্ট করে, পরীক্ষার দিন ল্যাপটপ চার্জ করে নিয়ে বের হল,সঙ্গে চার্জার টা ব্যাগে নিয়ে নিল এবং সকালে প্রফেসরকে রিপোর্ট ও স্লাইডগুলো মেইল করে দিল। সে সময়মত ক্যাম্পাসে পৌঁছে গেল এবং খুবই Fresh Mind এ তার প্রেজেন্টেশন দিয়ে ফেলল।
খেয়াল করলে দেখতে পারবেন এই দুধরণের মানুষ শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আমাদের চারপাশে প্রতিটি ক্ষেত্রে আছে।
Mr. X একজন Reactive Thinker এবং Mr. Y একজন Proactive Thinker.
Reactive মানুষেরা কোনো ঘটনা বা সমস্যার আবির্ভাব হওয়ার পর সেটি সমাধান করার চিন্তা করেন। চারপাশে ঘটতে থাকা ঘটনার সাথে তার Activity এর পরিবর্তন হয়।
Reactive মানুষের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য:
১. বাস্তবতাকে অস্বীকার করে থাকেন।
২. সর্বদা অপরকে দোষারোপ করেন।
৩. সমাধান না খুঁজে শুধু সম্যস্যাতেই মননিবেশ করেন।
৪. বিভ্রান্তিতে থাকেন।
৫. অন্যের প্রত্যাশা অনুযায়ী জীবনযাপন করার চেষ্টা করেন।
Proactive মানুষেরা ভবিষ্যতে তাদের সাথে কি ঘটবে সেটা পূর্বেই অনুমান করে তারপর সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করে।
এর ফলে Reactive মানুষের কাছে অনেক incident ই shock হিসেবে আসে আর Proactive মানুষেরা তাদের Situation Analysis করে নিজেদের প্রস্তুুত রাখতে পারে।
Proactive মানষের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য :
১.নিজেকে ভালভাবে জানেন।
২. আত্নবিশ্বাসী।
৩. সৃজনশীল।
৪. নিজেকে সবসময় ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে থাকেন।
৫. আত্নসংযমী।
এখন বলুন তো আপনি Reactive না Proactive Thinker?