PROPER সাপ্লাই চেইন : ব্যবসায়িক সাফল্যের মূলমন্ত্র
কোনো কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে প্রয়োজন সুন্দর planning ! তার পাশাপাশি চাই process, যা যথাযথভাবে অনুসরণ করলে কাজের সুন্দর সমাপ্তি এবং সাফল্য নিশ্চিত হয়। এটি যেমন ছোট ছোট কাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তেমনি বড় বড় ফ্যাক্টরিতেও সমানভাবে প্রযোজ্য। এই প্ল্যানিং বা প্রসেস-ই বর্তমানে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (Supply Chain Management) নামে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রপার সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট অনুসরণে সহজেই অনেক পণ্যের অর্ডার দ্রুত এবং সাশ্রয়ীভাবে তৈরি করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। আর একটা প্রতিষ্ঠানের সাপ্লাই চেইন যত বেশি শক্তিশালী হবে সে প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের সম্ভাবনা তত বেশি।
Supply Chain Management কি?
মানুষের চাহিদা থেকেই সাপ্লাই চেইনের উৎপত্তি। কোনো একটি পণ্য উৎপাদন করতে হলে বেশকিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, এটা আমরা সকলেই জানি। সাধারণভাবে Supply Chain Management বলতে বোঝায় পণ্য সরবরাহকে। একটি পণ্য উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট তৈরি করে গ্রাহকের নিকট পৌঁছানো এবং পরবর্তীতে প্রোডাক্ট রিলেটেড কোনো প্রবলেম হলে তার সমাধান বা রিটার্ন নিয়ে আসাও মূলত সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টেরই অংশ। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল কেনা থেকে শুরু করে planning, sourcing, warehousing, manufacturing ও marketing কার্যক্রম skill দিয়ে সময়মতো ও কম খরচে complete করাই হলো সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (Supply Chain Management)। সেলস পরবর্তী সেবাও সাপ্লাই চেইনের অন্তর্ভূক্ত, এর ফলে যেমন কাস্টমার ভ্যালু বাড়ানো সম্ভব তেমনি competitive market-এ টিকে থাকার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ fact হিসেবে কাজ করে।
Supply Chain Management কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সঠিক ও শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশাল সম্ভাবনা বয়ে আনে। প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও কাস্টমারের সন্তুষ্টির জন্য দক্ষ ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ।
কাস্টমার স্যাটিসফিকেশন
কাস্টমারের সন্তুষ্টি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ফার্স্ট প্রায়োরিটি হওয়া উচিত। এটি প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডিংয়েরও অন্যতম tools. একটি smooth সাপ্লাই চেইন থাকলে কাস্টমারের demand দ্রুত ও কার্যকরভাবে নিশ্চিত হয়।
প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সাফল্য নিশ্চিত করতে
ইফেক্টিভ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট থাকলে প্রতিষ্ঠানের অপারেশনাল cost, প্রোডাকশন cost, ইনভেন্টরি অপ্টিমাইজেশ ও waste মিনিমাইজ করে যা প্রতিষ্ঠানের প্রফিট মার্জিন বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
Competitive অ্যাডভান্টেজ
বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাস্টমার ধরে রাখা। আর কাস্টমার ধরে রাখার জন্য সুলভ মূল্যে ভালো মানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তাই সুলভ মূল্যে ভালো মানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রদানের জন্য ইফেক্টিভ সাপ্লাই চেইন থাকতে হয়।
রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ও পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়া
ইফেক্টিভ সাপ্লাই চেইন থাকলে Planning থেকে শুরু করে Product Delivery পর্যন্ত টোটাল প্রক্রিয়ায় কোথাও কোনো রিস্ক যেমনঃ প্রোডাকশনে দেরি, disruption, কোয়ালিটি ইম্প্রুভমেন্ট ইত্যাদি ইস্যু আছে কিনা তা যাচাই করে ম্যানেজ করা সহজ হয়ে যায়। আমরা করোনা মহামারিতে দেখেছি অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানও কার্যকরী সাপ্লাই চেইন না থাকায় অপারেশন বন্ধ করতে হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সাস্টেইনেবিলিটির জন্য এমন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গড়ে তুলতে হবে যা যেকোনো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম।
বাংলাদেশে Supply Chain Management নিয়ে Career Prospect কেমন?
বাংলাদেশে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (Supply Chain Management) নিয়ে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। বিশ্বায়নের যুগে এই খাতের প্রসার খুব দ্রুত বাড়ছে। এই খাতের পেশাজীবীদের সাধারণত সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট অফিসার, লজিস্টিক, প্রকিউরমেন্ট, ডিস্ট্রিবিউশন ও গ্রাহকসেবা ইত্যাদি পদে কাজ করার সুযোগ রয়েছে কিন্তু দক্ষ জনবল সংকট রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প যেমন পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যাল, এফএমসিজি (Fast-Moving Consumer Goods), ও আইটি খাত উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। এসব খাতে দক্ষ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে তার উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দক্ষ সাপ্লাই চেইন ম্যানেজারদের চাহিদাও বাড়ছে। প্রযুক্তির ব্যবহারে সাপ্লাই চেইন খাতে দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়ছে। ফলে প্রযুক্তি-সচেতন সাপ্লাই চেইন পেশাজীবীদের চাহিদা বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে লজিস্টিকস এন্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সেক্টরের চাহিদাও বাড়ছে। বাংলাদেশেও এই সেক্টরে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। ঠিক এমন পরিবেশে এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে পারলে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল।