Sustainable Economy এবং MEAL একে অপরের সাথে কি অতপ্রতভাবে জড়িত?
এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই কোনো একটি প্রজেক্ট, প্রোগ্রাম এমনকি একটি সংস্থার কার্যকারিতা বা উপযোগিতা জানতে পারি। এছাড়াও MEAL ডিপার্টমেন্ট আমাদেরকে জানায় কোন কোন জায়গায় আমাদের আরো উন্নতির সুযোগ রয়েছে এবং কিভাবে সেই উন্নয়ন করা যায়। তাই যেকোনো প্রজেক্ট-এর কাঙ্খিত ফলাফল ও টেকসই লক্ষ অর্জনের জন্যে প্রো-এক্টিভ MEAL ডিপার্টমেন্টের বিকল্প নেই।
ক্রমাগতভাবে প্রজেক্টগুলোকে Monitoring এবং Evaluate করার মাধ্যমে স্টেকহোল্ডাররা খুব সহজেই ডেটা ড্রিভেন ডিসিশন নিতে সক্ষম হবেন। Accountability নিশ্চিত করা গেলে জানা যাবে রিসোর্সের সঠিক ব্যবহার হয়েছে কি না। এছাড়াও জানা যায় যে এলাকা বা জনগণকে উদ্দেশ্য করে প্রজেক্টটি পরিচালনা করা হচ্ছে সেই টার্গেটেড এরিয়া এর সুফল ভোগ করতে পারছে কি না তাও জানা যাবে এর মাধ্যমে। আর Learning phase থেকে একজন ডিসিশন মেকার পূর্বের ঘটে যাওয়া সফলতা বা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভবিষ্যৎে তা বিবেচনায় নিয়ে ডিসিশনগুলোকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করবেন।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে Monitoring & Evaluation এর বেশ বড় ভূমিকা রয়েছে, কেননা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্যে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টগুলোকে বাস্তবায়ন করা বেশ কষ্টসাধ্য। World Bank – এর তথ্যানুযায়ী, দেশের প্রায় ২০% জনগণ এখনো দারিদ্রসীমার নীচে অবস্থান করছে যেখানে Human Development Index – এ বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৮ তম।Monitoring & Evaluation – এর যথাযথ প্রয়োগ কোনো প্রজেক্টে ইনভেস্টমেন্টের ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করে প্রজেক্টটিকে সাস্টেইনেবল করে তুলে। উদাহরণ স্বরূপ, International Food Policy Research Institute জানিয়েছে যে বাংলাদেশে বাস্তবায়িত Food Aid Programme-এর সফলতার অন্যতম একটি কারণ হলো এই প্রোগ্রামে Monitoring & Evaluation এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে অধিক সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সে সকল এলাকার জনগণের দোরগোড়ায় তাদের উপযোগি সহায়তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে ম্যানেজমেন্টকে দ্রুত সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণেও Monitoring & Evaluation কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।একইভাবে Monitoring & Evaluation একটি প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন কাজটি করা উচিৎ এবং কোনটি উচিৎ নয় তার অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা প্রদান করে এবং এর মাধ্যমে প্রজেক্টটির ইমপ্যাক্ট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh এর একটি গবেষণায় দেখা যায়, কমিউনিটি বেইজড একটি নিউট্রিশন কর্মসূচীতে Monitoring & Evaluation এর যথাযথ প্রয়োগের ফলে প্রোগ্রামটি দারুণ ভাবে সফল হয় এবং সেই এলাকায় শিশুদের অপুষ্টিতে ভোগার হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যেকটি মন্ত্রনালয় এবং ডিপার্টমেন্টের প্রজেক্টগুলোতে Monitoring & Evaluation – এর প্রতি আলাদাভাবে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। নিউট্রিশন, হেলথ ইত্যাদি ডিপার্টমেন্টগুলোতে ডেডিকেটেড MEAL টিম কাজ করছে। ইতোমধ্যেই প্রত্যেকটি প্রজেক্টে Monitoring & Evaluation নিশ্চিত করার জন্যে একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ সরকার, যার মধ্যে রয়েছে Monitoring of program implementation, impact evaluation, এবং systematic feedback mechanisms ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায় বাংলাদেশের প্রজেক্টগুলোকে দীর্ঘমেয়াদীভাবে টেকসই ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে Monitoring & Evaluation এর গুরুত্ব অপরিহার্য। একটি সুপরিকল্পিত MEAL ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামগুলোকে আরো স্থায়ী, টেকসই ও কার্যকরীভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যা দেশের তুলনামূলকভাবে কম সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীকে একটি ভালো ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করবে বলে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি।