Emotional Intelligence কন্ট্রোলে থাকলে কর্মক্ষেত্রে হবেন সফল
“অফিসে আবেগ নয়, ওটা বাড়িতে রেখে এসো!”
এমন কথা আমরা অনেকের কাছ থেকেই শুনতে পাই! আসলে বাস্তবে এটি কখনোই সম্ভব নয়! কারণটিও পরিষ্কার, অফিসের “আমি” আর বাসার “আমি” আলাদা দুটি মানুষ নয়। তবে হ্যা আবেগকে ম্যানেজ করতে পারা উচিৎ, সেটা অফিসেও, বাসাতেও এবং সেটির জন্য প্রয়োজন Emotional Intelligence এর সঠিক দক্ষতা! Harvard ফাউন্ডেশনের রিসার্চে দেখা যায়, আমাদের সফলতার ৮৫-৮৭ শতাংশ নির্ভর করছে Emotional Intelligence এর উপর। তারপরও আমরা আমাদের জীবনে মাত্র ১০ শতাংশ ব্যয় করছি এই ধরনের skill এর উপর! এজন্যই প্রফেশনালস হিসেবে আমাদেরকে চাকরীর বাজারে এ অনেক পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে Human Resource Management প্রফেশনে।
২১ শতকে এসে একটা মজার ঘটনা ঘটেছে। ডিজিটাল যুগের সাথে সাথে যত ডিজিটাল হচ্ছি আমরা, আমাদের কাজ কর্ম যত অটোমেটিক হয়ে যাচ্ছে, আমাদের কাজ কর্মগুলো যত মেশিনের হাতে তুলে দিচ্ছি ততই আমরা ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এর গুরুত্ব বুঝতে পারছি। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে আমরা নিজের এবং অন্যের চিন্তাভাবনা এবং আচরণ সম্পর্কে সহজে বোঝা যায়। মোটকথা, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে সহজেই আপনি স্ট্রং রিলেশনশিপ বিল্ড করতে পারবেন, ওয়ার্কপ্লেসে সাক্সেস হতে পারবেন, তাছাড়া আপনার ক্যারিয়ারে এবং টার্গেটে সহজেই রিচ করতে পারবেন। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এ আপনি যদি এক্সপার্ট হয়ে পারেন তবে সহজেই আপনার গোল এচিভিং বা ক্যারিয়ারে বিভিন্ন প্রব্লেম সলভিং এ সহজেই ডিসিশান নিতে পারবেন।
ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স মূলত ৬ টি উপাদানঃ
১. সেল্ফ এওয়ারনেস
২. সেল্ফ ম্যানেজমেন্ট
৩. মোটিভেশন
৪. এমপ্যাথি
৫. সোশ্যাল স্কিল
৬. রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট
Wayne Leon Payne এর গবেষণা পত্রে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স শব্দটি প্রথম পাওয়া গেলেও ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এর জনক ধরা হয় John Mayer ও Peter Salovey’কে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির Salovey এর গবেষণার বিষয় ছিল আবেগ ও আচরণ আর ইউনিভার্সিটি অফ নিউ হ্যাম্পশায়ারের Mayer এর গবেষণার বিষয় ছিল আবেগ ও চিন্তার মধ্যকার সম্পর্ক।
গ্রীষ্মের এক দিনে এই দুই বন্ধু Salovey’র বাড়ি রঙ করতে করতে ইন্টেলিজেন্স বা বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করছিলেন। কথায় কথায় তাদের মনে হল যে, বুদ্ধিমত্তার কোন সংজ্ঞাতেই আবেগকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। কিন্ত কিছু মানুষ অন্যের আবেগ সহজে বুঝতে পারে ও সে সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে অধিক দক্ষতা প্রকাশ করে। তখন তাদের নতুন এক ধরণের বুদ্ধিমত্তার কথা মাথায় আসে যার মূল ভিত্তি হবে প্রতিদিনকার আবেগ অনুভূতিকে সনাক্ত করা, তা সঠিকভাবে ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ করা। এই চিন্তা থেকেই তারা ১৯৯০ সালে “ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স” নামে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন।
ফোর্বস এর ভাষ্য মতে, ৯০ শতাংশ সফল মানুষের সফলতার মূল চাবির কাঠি হচ্ছে Emotional Intelligence। এর উপরই নির্ভর করছে একজন HR প্রফেশনালের সাফল্য।