Creative Thinking
Think outside the box – এই কথাটি সবাই ই শুনেছি।
চলুন একট উদাহরণ দিয়ে শুরু করা যাক। একটি অফিসের কিছু সিইওরা মিলে একটি সার্ভে করল যেখানে তাদের জিজ্ঞাসা করা হল, কোন গুনটি তারা ইম্পলয়ি এ দের মাঝে সবচেয়ে বেশি খুঁজে থাকেন? অধিকাংশ এর ই জবাব আসলো, ক্রিয়েটিভ থিংকিং অর্থাৎ সৃজনশীল চিন্তাভাবনা। কেননা এ একটি গুন আপনাকে কর্মক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রাখে।
সৃজনশীল চিন্তাভাবনা বলতে এক নতুন ধারণা ধারণ করা বোঝায়, যার ফলাফল এখনও আপনি জানেন না,তবে বাস্তবায়িত হলে তা মূল্যবান হতে পারে। এটি সবার মধ্যেই আছে; শুধু আপনাকে তা কাজে লাগানোর কিছু উপায় জানতে হবে। যেমন –
১. নিজেকে প্রশ্ন করতে থাকুন : সকল প্রতিভাবান মানুষদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে এবং সেটি হলো কৌতুহল, জানার আগ্রহ। আপনার আশেপাশের জিনিসগুলো দিয়েই শুরু করুন। কেন এটি এভাবে করা হয়? অন্য উপায়ে কি করা যাবে? আগামী কয়েক বছরে এর মধ্যে কি পরিবর্তন আসতে পারে? কিছু সময় চিন্তা করুন দেখবেন উত্তর গুলো এক সময় পেয়ে যাবেন।
২. আইডিয়াগুলো লিখে ফেলুন : কাজ করার সময় আপনার পাশে নোটবুক ও পেন রাখুন। নতুন কিছু মাথায় আসা মাত্রই তা লিখে ফেলুন। সেটাকে ঘষামাজা করে লিখবেন না। র্যানডম আইডিয়া টিই লিখুন। মনে রাখবেন, যেকোনো কিছু নিয়ে আইডিয়া কিন্তু আমাদের মাথায় হুট করেই আসে।
৩. রুটিন পরিবর্তন করুন : আপনি রোজ একজায়গায় বসে কাজ করেন। আপনার ছোট রুমটিতে বসেই চিন্তা করে যাচ্ছেন। এ একঘেয়েমি রূটিনে ছোট ছোট পরিবর্তন আনুন। সকালে হাটতে বের হন কিংবা একটি কফিশপ এ কাগজ কলম নিয়ে বসুন। দেখবেন আপনার ব্রেইন আগে থেকে অনেক ভাল কাজ করছে।
৪. অন্যদের সাথে আলোচনা করুন : দুটি মস্তিষ্ক কখনই একভাবে চিন্তা করে না। তাই আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করার জন্য আরেকজন এর সাহায্য নিন।তার থেকে আইডিয়া নিন। নতুনভাবে জিনিসটিকে দেখতে পারবেন।
৫. যেকোনো সমস্যাকে পুনরায় কল্পনা করুন : সমস্যা নিয়ে হুট করে রেজাল্ট এ পৌছেবেন না। সমস্যাটিকে ঘুরিয়ে দেখুন। যেসব জায়গাতে পরিবর্তন আনা যায় তা নিয়ে আরেকবার ভাবুন। তখন আপনার মস্তিষ্ক আরও ভাল কাজ করবে কারন একবার আপনি সমাধান টি করে ফেলছেন।
৬. ভাবনাগুলো থেকে বিরতি নিন : ভাবার পাশাপাশি ভাবনা থেকে বিরতি নেওয়াও প্রয়োজন। কাজের মাঝখানে ছোটো ব্রেক নিন। টানা কাজে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে, নতুন কোন চিন্তা মাথায় আসে না। সেই সময়টিতে পছন্দের যেকোনো কাজ করুন।
৭. বই পড়ুন : বই পড়া থেকে মানুষ যত জ্ঞান নিতে পারে অন্য কোন মাধ্যমে তা সম্ভব না। জ্ঞান যত বেশি থাকবে ক্রিয়েটিভিও তত বাড়বে। তাই বেশি বেশি বই পড়ুন। বই এর চরিত্র গুলো নিয়ে ভাবুন। এতে আপনার সৃজনশীল চিন্তার পরিধি আরো বাড়বে।
উপরের নিয়মগুলো কাজে লাগালে আপনিও নিজেকে ক্রিয়েটিভ থ্রিংকার বলতে পারবেন।