Blog, Data Analysis, Data Science

অন্ধকারে ঢিল না মেরে হয়ে উঠুন ডেটা ড্রিভেন ডিসিশন মেকার

become-a-data-driven-decision-maker

চাকা আবিষ্কার ছিলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় মানব সভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম যুগান্তকারী আবিষ্কার। এরফলে গোটা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত বদলে গেলো মূহুর্তেই ! ছাপাখানা জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়েছিলো বিশ্বব্যাপী। বিদ্যুৎ পাল্টে দিয়েছিলো পুরো সমাজ ব্যবস্থা। আজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর আনাচে কানাচে। আর বর্তমান যুগে, ডাটা হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে পাওয়ারফুল টুলস ! মানুষের কাজের পেছনের সিদ্ধান্ত যদি ডাটা নির্ভর হয়, তাহলে সেই কাজ নির্ভুল এবং সহজেই করা সম্ভব।

কেন প্রয়োজন Data Analysis স্কিল?

প্রতিদিন আমাদের চারপাশে অগাধ পরিমাণ ডাটা জমা হচ্ছে। এই ডাটা আমাদের প্রতিদিনের কাজ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জীবনযাপনের ধরণকে দ্রুত পালটে দিচ্ছে। অতীতে আমরা যেভাবে সিদ্ধান্ত নিতাম, তার সাথে আজকের ডাটা-ড্রিভেন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতির মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে। কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে একটা ভুল সিদ্ধান্তের ফলে যেভাবে খরচ, মানুষের ভোগান্তি বাড়ে, সময় নষ্ট হয় – সেখানে ডাটা ব্যবহার না করাটাই এখন অপরাধের পর্যায়ে পড়ে যায়। সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিটা সংস্থার ‘অপারেশন’ এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তগুলো পুরোটাই নির্ভর করে সেই সংস্থা এবং তার সাথে সম্পর্কিত ডাটার বোঝার উপরে। বর্তমান কাজের পরিধি বেড়েছে, মানুষের সময় কমে এসছে, তাই কারো ভুল সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিষ্ঠানের সময় এবং অপচয় রোধ করতে ডাটা থেকে insight নিয়ে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে সবাই ঝুঁকছে।

আমাদের আশেপাশে এখন ডিভাইস নির্ভর প্রযুক্তির সমাহারে ভরপুর, যেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ডিভাইস থেকে উৎপন্ন হচ্ছে অসংখ্য ডাটা। এসব ডাটা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়নের জন্য আমাদের প্রয়োজন হচ্ছে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার। কিন্তু এই ডিভাইসের ডাটা বোঝার জন্য দরকার মানুষের। এই মানুষ যিনি অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন, তার সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে এই ডিভাইসের ক্যাপচারকৃত ডাটাকে ঠিকমতো ‘ইন্টারপ্রেট’ করতে পারা। এবং যখন এটাকে কেউ ঠিকমতো ‘ইন্টারপ্রেট’ করতে পারছেন না, সেখানে ডাটাকে প্রয়োজনীয় ‘ম্যানিপুলেশন’ (যতোটুকু ‘মডিফাই’ করলে ডাটাটাকে ঠিকমত বোঝা যাবে) করে তার ভেতর থেকে বুদ্ধিটা বের করার প্রয়োজন। এতে বোঝা যাবে এই ডাটা, আমাদেরকে কি ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বলছে।

ডাটা অ্যানালাইসিস ও দ্য আর্ট অফ স্টোরি টেলিং

একটা ডাটা থেকে insight বের করে তা কিভাবে ইফেক্টিভলি ব্যাখ্যা ও প্রেজেন্ট করা যায় তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। আপনি একটা ডাটা থেকে কি insight পেলেন সেটা যদি ঠিকঠাক প্রেজেন্ট না করতে পারেন তাহলে সব পরিশ্রমই কিন্তু জলে যাবে ! তাই ডাটা থেকে সঠিক আউটকাম পেতে ম্যানেজমেন্ট বা ক্লায়েন্টকে বোঝানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ! এখানেই আসে ম্যানেজার ও স্টোরি টেলিংয়ের ভূমিকা ! যে কোন জিনিসের ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস আপনার মনে না থাকলেও সেই ছোটবেলায় পড়া খরগোশ এবং কচ্ছপের গল্প ঠিকই মনে আছে। কেন? কারণ সেটা আপনি পড়ার সময় ভিজ্যুয়ালিও কল্পনা করেছেন! আপনি যখন ডাটাকে একটা গল্পের ন্যারেটিভে ট্রানসফর্ম করে কমিউনিকেশন করবেন তা অধিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আর আপনি যখন কোনো ডাটা insight স্টোরির মত করে ম্যানেজমেন্টের সাথে কমিউনিকেট করতে পারবেন তখন পুরো ব্যাপারটাই তাদের মনে একটা ভালো রেশ ফেলবে। শুধু মুখের কথায় বুঝ দেয়ার সময় কিন্তু এখন আর নেই ! আপনার স্টোরির সবচেয়ে ভাইটাল পয়েন্ট কি জানেন? ডাটা ! এই ডাটা আপনার স্টোরিকে ম্যানেজমেন্টের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে !

 

ডাটা বোঝার মানুষটা কই?

ডাটা অ্যানালাইসিসের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্কিল হলো ডাটা বোঝার ক্ষমতা। আপনি যদি কোন ডাটা প্রবলেমের গভীরতা বুঝতে না পারেন, তাহলে আপনি সেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন না। ডাটা বোঝার জন্য প্রয়োজন হয় ডাটা লিটারেসি। ডাটাকে ঠিকমতো বোঝা অর্থাৎ ডাটা অ্যানালাইসিস এখন শুধুমাত্র ডাটা এক্সপার্টদের হাতে নেই। বরং প্রতিষ্ঠানগুলো এখন আশা করে ম্যানেজাররা যেন ডাটা অ্যানালিটিক্স ব্যাপারটা নিজে থেকেই বোঝার চেষ্টা করেন। প্রশ্ন হচ্ছে কেন?
ডাটা কি বলছে অথবা আমাদের অ্যানালিস্ট ডাটার কি ধরনের ‘এভিডেন্স’ আপনাকে দেখাচ্ছে, সেটাকে ঠিকমতো বুঝে কোম্পানি ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো ‘ইন্টারপ্রেট’ করা এখনকার প্রয়োজনীয় স্কিল। এখনকার প্রতিষ্ঠানগুলো ম্যানেজারদের কাছে এই ব্যাপারটিই প্রত্যাশা করে। আপনি বলতে পারেন আমি ম্যানেজার – আমার কাজ ভিন্ন। ডাটা অ্যানালিস্ট আমাকে যেটা বুঝিয়ে দিবে তাই আমি ম্যানেজমেন্টকে পৌঁছে দেব। তাহলে প্রশ্ন হলো, ম্যানেজার হিসেবে আপনি কি ভ্যালু যোগ করলেন?
ধরা যাক, আপনার প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে স্মার্ট ডাটা অ্যানালিস্ট আছে, তবে তার সেই জ্ঞান প্রতিষ্ঠানের কাজে তখনই লাগবে যখন ম্যানেজার হিসেবে আপনি নিজে জানবেন ‘ডাটা অ্যানালিস্ট’ ডাটা নিয়ে কি কাজ করছেন এবং সেটার আউটকাম হিসেবে উনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন । সবচেয়ে বড় কথা হলো – ম্যানেজার হিসেবে আপনার জানা প্রয়োজন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে কিভাবে ডাটা ব্যবহার করতে হয়, কি ধরনের ইনপুট দিলে আমি best outcome পেতে পারি !

 

কিন্তু বাংলাদেশে এখনো ডাটা সংশ্লিষ্ট প্রফেশনালদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ এবং প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। এসকল দিক বিবেচনায় নিয়ে Academy of Business Professionals – ABP ডিজাইন করেছে 𝗣𝗼𝘀𝘁g𝗿𝗮𝗱𝘂𝗮𝘁𝗲 𝗗𝗶𝗽𝗹𝗼𝗺𝗮 𝗶𝗻 𝗗𝗮𝘁𝗮 𝗦𝗰𝗶𝗲𝗻𝗰𝗲 & 𝗕𝘂𝘀𝗶𝗻𝗲𝘀𝘀 𝗔𝗻𝗮𝗹𝘆𝘁𝗶𝗰𝘀 (𝗣𝗚𝗗𝗗𝗦𝗕𝗔)এই কোর্সের মাধ্যমে, আপনি নিজের পটেনশিয়াল আনলক করার জন্য প্রয়োজনীয় skill এবং knowledge অর্জন করবেন। সুতরাং, অন্যদের থেকে এগিয়ে যেতে এবং Real Difference Make করতে নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুযোগটি মিস করবেন না।