4 D’S of Time Management
টাইম ম্যনাজমেন্ট নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয় না এমন মানুষ হয়তো খুব কম ই আছে।
সময় এর সঠিক ব্যবহার এবং প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য হয়ত কিছু ট্রিকস আমরা কয়দিন ফলো করি তারপর ছেড়ে দেই।
আজকে এমন একটি টেকনিক জানব যার সাহায্যে খুব সহজেই দিনের ২৪ ঘন্টাকে সুন্দরমত কাজে লাগাতে পারব। টেকনিক টিকে ‘ 4 D’S of time management ‘. বলা হয়ে থাকে; DO, DEFER, DELEGATE, DELETE.
কাজ শুরুর আগে টু-ডু লিস্ট করা খুব জরুরি।এবং এ টেকনিক এ এটি আপনাকে করতেই হবে।তাই প্রতিদিন সকালে উঠে একটি টেবিল এ চারটি ঘরে এ চারটি শব্দ লিখুন।এ টেকনিক টি নিচের মত ক্রমেই সাজাবেন।
1. Delete(বাদ দেওয়া) : আপনাকে ভাবতে হবে কোন কাজটি আপনার পার্সোনাল কিংবা প্রফেশনাল লাইফে সময় নষ্ট করছে। ভাবতে বসলে আপনি দেখবেন দিনের অনেকটা সময় ই আপনি অপ্রয়োজনীয় এপস,ইমেইল এর জবাব দেওয়া,ফেসবুক ইত্যাদির পিছনে কাটাচ্ছেন।তাই আপনি এ যাবতীয় কাজ গুলো লিখবেন এবং একে ডিলিট সেকশন এ রাখবেন।
2. Delegate(প্রতিনিধি) : এ লিস্টে এমন কাজগুলো রাখবেন যেগুলো আপনার করতে হবে,কিন্তু অন্যদের দিয়েও।কাজ চালানো যায়। ধরেন আপনাকে একটা স্লাইড বানাতে হবে; কাজটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি তা টিমের কিংবা গ্রুপের অন্য কাউকে দিয়ে করাতে পারবেন।এ সকল কাজগুলো ডেলিগেট এ রাখবেন।
3. Defer(স্থগিত) : কিছু কাজ আছে যা আপনাকে করতে হবে কিন্তু এখন ই না। অর্থাৎ কাজগুলো দিনশেষে করলেও হয়ে যাবে। এ কাজ গুলো আপনার প্রায়োরিটি লিস্টের কিছুটা পিছনে থাকবে। যেমন: আপনি নতুন স্কিল শিখছেন,এবং আপনাকে এটির পিছনে একঘ্ন্টা সময় দেওয়ার কথা ছিল কিংবা আপনার ক্লায়েন্ট এর সাথে একটি মিটিং ছিল – এ টাইপের কাজগুলো আপনি এ সেকশন এ রাখবেন।
4. Do(করা) : নিশ্চয়ই ই বুঝতে পারছেন এখানে কোন কাজগুলো রাখবেন। এ লিস্টের কাজগুলো কে কখনোই ফেলে রাখবেন না। বাকি কাজগুলো ফিল্টার করতে করতেই কিন্তু এটিতে এসেছেন। তাই দিনের শুরুতেই এগুলো করে ফেলুন।
আপনি আপনার সময় কে ব্যবহার করছেন বা কিভাবে অপচয় করছেন তার উপরেই সবকিছু নির্ভর করে। একবার আপনি ‘4 D’S’ টেকনিক কে আয়ত্তে আনতে পারলে দেখবেন আগের থেকে প্রোডাক্টিভিটি বেড়েছে এবং প্রোক্রাস্টিনেশন কমেছে। তাই আজকে থেকেই এটিকে কাজে লাগানো শুরু করুন।