সাধ্যের অতিরিক্ত Stress নিচ্ছেন নাতো ? | ABP
logo

ABP

Populate the sidearea with useful widgets. It’s simple to add images, categories, latest post, social media icon links, tag clouds, and more.
hello@youremail.com
+1234567890
ABP - Academy of Business Professionals
 

সাধ্যের অতিরিক্ত Stress নিচ্ছেন নাতো ?

সাধ্যের অতিরিক্ত Stress নিচ্ছেন নাতো ?

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট – ১:

আমরা অনেকে জব স্ট্রেসের শিকার হয়ে থাকি। স্ট্রেস পুরোটা কন্ট্রোল না করা গেলেও স্ট্রেস ম্যানেজ করার কিছু পদ্ধতি আছে। যেসব চিন্তা ও কাজ স্ট্রেস ট্রিগার করে সেগুলির কিছু কিছু আছে যেগুলি থেকে বাঁচা যায়। আবার কিছু কিছু আছে যেগুলি ম্যানেজ করতে হয়। ফলে স্ট্রেস কমানো যায়।

সব মানুষ যেমন একরকম নয়, সব জবও একরকম নয়। তাই সবার জন্য স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের সব ব্যবস্থা খাটে না। প্রত্যেককে দেখতে হবে আমি কেন স্ট্রেসড হই। স্ট্রেসের মৌলিক কারণ চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি স্ট্রেস ট্রিগার ও ম্যানেজমেন্টের মৌলিক ব্যাপার জানা থাকলে স্ট্রেস কমানো সম্ভব।এখানে যে বিষয়গুলো বলা হবে, সেগুলো ফলো করে দেখুন। আশা করি সহজে স্ট্রেস ম্যানেজ করতে পারবেন।

১) নিজের দিকে পজিটিভ দৃষ্টি দিন

এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটি কথা মনে রাখবেন, পৃথিবীতে স্ট্রেসবিহীন মানুষ নেই! আপনার চারপাশে যে মানুষগুলকে ফুরফুরে দেখেন, আবার ফেসবুকের স্ট্যাটাসে বা ইউটিউবের ভিডিওতে

অনেককেই দেখেন আনন্দিত, এর অর্থ কিন্তু এই নয় যে তারা চিরসুখী! কেউই এ ধরায় অবিমিশ্র সুখে বা দুখে নেই। এমনও হতে পারে, আপনিই আপনার দশজনের বন্ধু-মহলে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সুখী! নিজের পারসানালিটির দিকে পজিটিভ দৃষ্টি দিলে অনেক কিছু মানিয়ে নেওয়া সহজ।

২) পরিস্থিতির সঙ্গে সহজভাবে এ্যাড্যাপ্ট করার অনুশীলন করুন

পরিস্থিতির সঙ্গে সহজভাবে এ্যাড্যাপ্ট করা বা মানিয়ে নেওয়া – হ্যাঁ এটি খুব জরুরি। বিরূপ অবস্থা দেখলেই ঘাবড়ে যাবেন না! এটা স্ট্রেস বৃদ্ধি করে। সাধারণ ঘাবড়ানো এক জিনিস আর ঘাবড়ে গিয়ে নেগেটিভ চিন্তা করা আর কথা বলে ফেলা ভিন্ন। প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হলে আমরা প্রায়ই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করি। তখন আমরা নিজের ওপর বোঝা তুলি, মাথা ব্যথা করে। অথচ এটা কিন্তু নিজের কন্ট্রোলে! এই প্রতিক্রিয়াটি যত সহজ হবে, স্ট্রেস তত কম হবে। প্রচলিত একটা কথা আছে, কথা হজম করতে হবে। ঠিক তাই। অনেক কথা শুনবেন, মানুষ খোঁচা দিয়ে কথা বলবে, খোঁটা পর্যন্ত দেবে। আপনি পাল্টা মৃদু একটা হাসি দেবেন। পরিস্থিতি সহজ-সরল-সুন্দরভাবে সামাল দেওয়া অনুশীলন করবেন। অপ্রয়োজনীয় কথা তো পাত্তাই দেবেন না, আর প্রয়োজনীয় কথার জবাব দেবেন ভেবে। দেখবেন মাথা ঠান্ডা থাকবে, স্ট্রেস কমবে।

৩) সময়মতন কাজ করুন

শুধু সময়মত অফিসে যাওয়া আর আসা নয়! সময়মত খান, ঠিকমত ফ্যামিলিকে টাইম দিন, আর পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান। আমাদের শরীর আর মনের কিছু চাহিদা আছে। অফিস-ওয়ার্ক করে তার সব অর্জন করা যায় না। যারা টাইম ম্যানেজমেন্টে যত যত্নবান তারা গোছানো জীবনযাপন করে। অগোছালো জীবন বিরক্তি আর অশান্তির উৎস। টেবিল অগোছালো মানে অনেক কাজ করা হয় – তা নয়। বরং, যদি কারো সবসময়ই সব জিনিস অগোছালো থাকে, এর অর্থ, তার বেশিরভাগ কাজই অগোছালো!

প্রায়োরিটি ব্যাসিসে কাজ করুন। মাথা ঠান্ডা থাকবে ইনশাআল্লাহ। স্ট্রেস ট্রিগারসমূহের মধ্যে খুবই কমন হল টাইমের মিস-ম্যানেজমেন্ট। জরুরি কাজের সময় আড্ডা দিলে, আর আড্ডার সময় জরুরি কাজ করলে জীবনে শান্তি মিলা ভার!

Sagar islam